এম. আবু হেনা সাগর, ঈদগাঁও:

জনগুরুত্বপূর্ণ ঈদগাঁও-ঈদগড় যোগাযোগ সড়কটি বর্তমানে মরণ দশায় পতিত হয়ে পড়েছে। রাখে আল্লাহ মারে কে অবস্থায় অসহায় লোকজন প্রতিনিয়ত যানবাহন নিয়ে নানা কষ্ট আর দূর্ভোগ মাথায় নিয়ে যাতায়াত করে যাচ্ছে। এসব বিষয়ে দেখা কেউ না থাকায় হতাশ হয়ে পড়েছেন বিশাল এলাকার জনগোষ্ঠী। উক্ত সড়কের গজালিয়া পয়েন্টে একটি ব্রীজ আদৌ পরিপূর্ণ নির্মিত না হওয়ায় চলাচলে এহেন অবস্থার সৃষ্টি বলে পথচারীরা জানান।
প্রাপ্ত তথ্য মতে, জেলার ক্রাইম সড়ক খ্যাত ঈদগাঁও-ঈদগড় সড়কটি দীর্ঘকাল ধরে এই করুন অবস্থায় রয়েছে। এমনকি অসংখ্য ঈদগড়-বাইশারীর লোকজন জেলার দ্বিতীয় বানিজ্যিক নগরী খ্যাত ঈদগাঁও বাজারে আসতে নানা ভাবে দূর্ভোগ পোহাচ্ছে। পাশাপাশি ঈদগাঁওর মানুষজন হরেক রকম কাজে কর্মে ঈদগড়ে যাতায়াত করতেও নিদারুন কষ্ট পাচ্ছে।
অন্যদিকে ভাঙ্গনের ফলে যানবাহন চালকরাও সে সুযোগকে কাজে লাগিয়ে দ্বিগুন ভাড়া আদায় করছে যাত্রীদের কাজ থেকে। এ সড়কের ইসলামাবাদ ইউনিয়নের গজালিয়া পয়েন্টে নির্মানাধীন একটি ব্রীজের কারণে উভয় দিকের শত শত লোকজন দূর্ভোগ আর দূর্গতিতে পড়েছে চলাচলের ক্ষেত্রে। সে সাথে এ এলাকার যোগাযোগ সড়ক জুড়েই বড় বড় খানাখন্দকে ভরপুর বললেই চলে।
আবার গজালিয়া ব্রীজ সংলগ্ন এলাকায় রাস্তার পাশে খালি বিলের উপর দিয়ে পঁচা পানি আর কর্দমাক্ত পেরিয়ে অতি কষ্টের বিনিময়ে সিএনজি, টমটম, মোটর সাইকেল সহ মালবাহী নানা যানবাহন চলাচল করতে দেখা যায়। ঐ স্থানে গিয়ে যাত্রীদেরকে নামিয়ে ভাঙ্গা পেরিয়ে আবারও যাত্রীদেরকে গাড়িতে উঠতে হচ্ছে। মুমুর্ষ রোগী হলেতো কথায় নেই। এভাবে চলছে এ এলাকার অসংখ্য মা-বোন। অন্যদিকে ভাঙ্গনকৃত এলাকায় সন্ধ্যার পর হলেই ডাকাত আতংক বিরাজ করছে যাত্রী ও সাধারণ লোকজন।
এই সড়কের হাজার হাজার চলাচলকারী লোকজন, শিক্ষার্থী, ব্যবসায়ীদেরকে এই মরণ দশার কবল থেকে কবে মুক্তি পাবে এই অপেক্ষায় প্রহর গুনছে অসহায় মানুষজন। তবে সচেতন পথচারীদের ব্রীজ নির্মাণের কন্টেকটারের খামখেয়ালীপনার কারণে অসহায় যাত্রীরা নিদারুন কষ্ট পাচ্ছেন বলেও অভিযোগ তুলেন। ২ জুলাই সকালে ঈদগাঁও রিপোটার্স সোসাইটির নেতৃবৃন্দরা বিশেষ কাজে ঈদগড় যাওয়ার কালে ভাঙ্গনের এহেন অবস্থা চোখে পড়ে। ঘটনাস্থলে সংবাদ কর্মীদেরকে দেখে দূর্ভোগ আর দূর্গতিতে আটকা পড়া লোকজন উপরোক্ত বিষয়ে বিশদ বিবরণ দেন হতাশ কণ্ঠে।